যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য আর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত।
সিঙ্গাপুর, ২৬ মার্চ ২০২২: আজ যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য আর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলাদেশের ৫১তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। সকালে চ্যান্সারীতে জাতীয় সংগীতের মূর্ছনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন মান্যবর হাইকমিশনার জনাব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, এনডিসি। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত বাণীসমূহ এসময়ে পড়ে শোনানো হয়। সকালের এই আয়োজনে পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত বিশেষ ডকুমেন্টারি। আলোচনা অংশে বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিটি ধাপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংগালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও মুক্তিযুদ্ধকালে বাংগালী জাতির অনন্য সাধারণ ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সাহসীকতার কথা তুলে ধরেন। মান্যবর হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল শহীদের পূন্য স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি স্বাধীনতার ৫১তম বর্ষে উপনীত হয়ে জাতি হিসেবে আমাদের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার হিসেব মিলাতে পিছু ফিরে দেখার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্জন অনেক, কিন্তু জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে আমাদের আরো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে, দেশ-দশ আর বৈশ্বিক কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। মান্যবর হাইকমিশনার এই শুভদিনে একটি সুখী-সুন্দর-উন্নত-শান্তিকামী বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করার অনুরোধ জানান। সন্ধায় সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কালচারাল সেন্টারে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে একটি রিসেপশন আয়োজন করা হয়। সিঙ্গাপুর সরকারের সিনিয়র স্টেট মিনিষ্টার ফর ফরেন এফেয়ার্স মিজ সিম এন গেষ্ট অব হনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী তার ভাষণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ভূঁয়শী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ- সিঙ্গাপুর বন্ধুপ্রতীম সম্পর্কের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। উল্লেখ, দুটি দেশ এবছর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পঞ্চাশ বছর উদযাপন করছে। রিসেপশনে সিঙ্গাপুর সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় ডিপ্লোম্যাটিক কোরের সদস্যবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন গুণীজন উপস্থিত ছিলেন। রিসেপশনের শেষে স্থানীয় বাংলাদেশী শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চায়িত হয়।